October 22, 2024, 11:22 am

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান প্রতি হিংসার শিকার বিএনপি নেতা কবির চৌধুরী  সংবাদ সংগ্রহ করতে হেনস্তার স্বীকার এশিয়ান টিভির স্টাপ রিপোর্টার ফরিদ আহমেদ নয়ন থানায় অভিযোগ

‘রেজা ভাই আমার দেখা সবচেয়ে সৎ ও নিষ্ঠাবান ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব’

ডেস্ক নিউজ ॥

চলে গেলেন দেশের ক্রিকেটের প্রবাদতুল্য ব্যক্তিত্ব রেজা ই করিম। আজ (রোববার) ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ এ ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতার বছর তিনেক পর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (তখন ঐ নামই ছিল) একজন অন্যতম শীর্ষকর্তা ছিলেন তিনি।

এদেশের ক্রিকেটের পুনঃপ্রচলন, প্রচার-প্রসার, জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি এবং উত্তরনে যে হাতে গোনা কজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষের অবদান আছে- রেজা ই করিম ছিলেন তার অন্যতম। তার প্রয়ানে দেশের ক্রিকেটে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সত্তরের দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবাই শোকাহত।

সদ্য প্রয়াত রেজা ই করিমকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তার ব্যক্তিজীবন, ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড খুব কাছ থেকে দেখেছেন, তার সম্পর্কে জানেন এমন এক ব্যক্তিত্ব আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। ধরা হয়, সাজ্জাদুল আলম ববিই বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটের সর্বকণিষ্ঠ ম্যানেজার, সত্তরের দশকের শেষদিকে (১৯৭৮ সালে) শুরু থেকে আবাহনী লিমিটেডের ম্যানেজার ছিলেন দীর্ঘদিন।

এর আগে তিনি আবাহনীর ক্রিকেট ক্লাব কমিটির সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৭৬ সালে। পরে ১৯৮৩ সালে সর্বকণিষ্ঠ সদস্য হিসেবে যোগ দেন ক্রিকেট বোর্ডে। এর আগেই অবশ্য ১৯৭৭-৭৮ সালে বোর্ডের সাব কমিটিতে নাম লেখান ববি।

১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ দল যখন ইংল্যান্ডে খেলতে যায়, তখন রেজা ই করিম ছিলেন সহকারী ম্যানেজার আর আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি উচ্চতর পড়াশোনা করছেন লন্ডনে। স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় জাতীয় দলের নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন ববি। তখন থেকেই শুধু রেজা ই করিমের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা।

সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে করিম ই রেজার বাসায় সাজ্জাদুল আলম ববি
এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে একসঙ্গে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৯৮ সালের বোর্ড নির্বাচনের আগে যখন থেমে যান রেজা ই করিম, তখনও সেই বোর্ডের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন সাজ্জাদুল আলম ববি। ব্যক্তি মানুষ ও ক্রিকেট সংগঠক রেজা ই করিমকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতাই আজ (রোববার) দুপুরে জাগোনিউজের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করলেন বিসিবির বোর্ড পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি।

জাগোনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো আহমেদ সাজ্জাদুল ববির স্মৃতিচারণ:

রেজা ভাই চলে গেলেন, আমরা যারা তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানি- তারা সবাই গভীর শোকাহত। এমন সৎ, বিনয়ী, নম্র-ভদ্র মানুষ মেলা কঠিন। তার ক্রিকেটপ্রেম, ভালবাসা আর বোধ ও জ্ঞানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ এক মানুষ ছিলেন রেজা ভাই। ক্রিকেটের প্রতি তার আত্মনিবেদন ছিল সর্বোচ্চ। এক কথায়, ‘মোস্ট ডেডিকেটেড’ ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব।

আমরা এক সময় দেশের ক্রিকেটের প্রতীক ভাবতাম তাকেই। আমাদের কাছে রেজা ভাই’ই ছেলেন দেশের ক্রিকেট। এ নিপাট ভদ্র এবং ক্রিকেটের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মানুষটি দেশের ক্রিকেটের প্রচার, প্রসার, জনপ্রিয়তা এবং সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রিকেটের পুনঃপ্রচলন ও চর্চার পেছনে রেখেছেন অগ্রণী ভুমিকা।

ক্রিকেটের প্রতিটি শাখায় ছিল তার সম্পৃক্ততা। কী করেননি? ক্রিকেট খেলেছেন এক সময়ের নামকরা দল ঈগলেটসের হয়ে। তারপর আম্পায়ারিং করেছেন। সত্তর দশকের পুরো সময় এমসিসি থেকে শুরু করে ভারতের ডেকান ব্লুজ, হায়দরাবাদ ব্লুজসহ যত বিদেশি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ হয়েছে তার বেশিরভাগ ম্যাচ পরিচালনাও করেছেন রেজা ভাই।

ক্রিকেট সংগঠক, ব্যবস্থাপক হিসেবেও তিনি ছিলেন বিশেষ দক্ষ। ঘরোয়া ক্রিকেটের বাইলজ ও প্লেয়িং কন্ডিশন তৈরির তিনিই ছিলেন মূল কারিগর। নিজ হাতে এমসিসির বাইলজ ও প্লেয়িং কন্ডিশনের বাংলা অনুবাদ করে সারাদেশের সব ক্রীড়াসংস্থায় বন্টন করার গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে প্রকারন্তরে ঘরোয়া ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন।

দেশের ক্রিকেটকে তিনি অনেক দিয়েছেন। এদেশের ক্রিকেটের উত্তরনের প্রতিটি স্তরে অসামান্য অবদান আছে তার। তাই বলবো, দেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন রেজা ভাই। অনেক স্মৃতিও রেখে গেছেন। তার মত ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। আমরা জানি, বুঝি কী হারালাম। তার জায়গা কিছুতেই আর পূরণ হওয়ার নয়।

আসলে রেজা ভাইয়ের কথা কী বলবো? তার মত ক্রিকেট নিবেদিতপ্রাণ মানুষের সম্পর্কে কী-ইবা বলার আছে? তবে নতুন প্রজন্মের জানা দরকার, আজ দেশের ক্রিকেট যেখানে, আমরা কিন্তু একদিনের সেখানে আসিনি। অনেক সময়, ত্যাগ, সংগ্রাম এবং কর্মপ্রচেষ্টার ফসল এই অবস্থান। সেটা রাতারাতি বা কারও একার চেষ্টা বা নৈপুণ্যে নয়।

শুরুতে হাতে গোনা কজন ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষ ক্রিকেটে এগিয়ে নিতে রেখেছেন অগ্রণী ও কার্যকর ভূমিকা। আমরা যতই বলি, কে জেড ইসলাম সাহেব, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সাহেবদের নাম। আসলে পল্টু ভাই (নামি রাজনীতিবীদ মোজাফফর হোসেন পল্টু), রেজা ভাই (রেজা ই করিম) রাইস ভাই (রাইসউদ্দীন আহমেদ, বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক) আর মনি ভাইরাই (প্রয়াত আমিনুল হক মনি, বিসিবির আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক) ক্রিকেট অগ্রযাত্রার পুরোধা। তাদের হাত ধরেই ক্রিকেট এগিয়েছে।

নানা কর্মকান্ড, যুগ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং সূদুরপ্রসারী কর্মকান্ড এবং কার্যক্রম হাতে নিয়ে ঐসব ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষগুলো ক্রিকেটের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছেন। সন্দেহাতীতভাবে রেজা ভাই তাদের অন্যতম।

আমার এখনও মনে আছে, এখন যেটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কনফারেন্স রুম, সেখানেই প্রতিটি ফেডারেশনের নামে একটি করে আলমারি ছিল। ঐ আলমারির পাশেই কয়েকটি চেয়ার। সেটাই ছিল ক্রিকেট বোর্ডের অফিস। কখনও আবার বিদ্যুৎ থাকতো না।

সেখানে বসে বসে রেজা ভাই আর রাইস ভাই কাজ করতেন। রেজা ভাই অগ্রণী ব্যাংকের অফিস সেরে আর রাইস ভাই বিমান অফিসের কাজকর্ম সেরে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঐখানে বসে কাজ করেছেন, ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন, অফিস ওয়ার্ক বলতে যা বোঝায়, তাই করেছেন।

অনেক পদে কাজ করা রেজা ভাই কিন্তু নির্বাচকের ভূমিকায়ও কাজ করেছেন। তিনি জাতীয় দলের নির্বাচকও ছিলেন। এছাড়া জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনায়ও সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন রেজা ভাই।

এখনও মনে পড়ে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দল যখন প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলতে ইংল্যান্ড গিয়েছিল, রেজা ভাই ছিলেন ঐ দলের সহকারী ম্যানেজার। আমি তখন লন্ডনে পড়াশোনা করতাম। পুরো সফরে জাতীয় দলের খুব কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছি। রেজা ভাইকে তখন খুব কাছ থেকে দেখার, জানার ও বোঝার সুযোগ হয়েছে। তারপর বিভিন্ন সময় বোর্ডে এক সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্যও হয়েছে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে বাইলজ ও প্লেয়িং কন্ডিশন প্রণেতা হিসেবে রেজা ভাইয়ের জুরি মেলা ভার। যতরকম প্লেয়িং কন্ডিশন আর বাইলজ এখন আছে, সবই প্রায় তার হাতে তৈরি। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটের শুদ্ধ আইনকানুন এবং সঠিক নিয়মনীতি প্রচলনেও রেজা ভাইয়ের ভূমিকা ছিল দারুণ। তিনি প্রয়াত আতাউল হক মল্লিক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এমসিসির বাইলজের বাংলা অনুবাদ করে ক্রিকেট সংগঠকদের মাঝে বিতরণ করেন।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেশের ক্রিকেটের গ্ল্যামার বাড়ানো, ঘরোয়া ক্রিকেট বিশেষ করে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করতে, ঢাকা লিগের জনপ্রিয়তা ও আকর্ষণ বাড়াতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা দ্বিগুণ করতে যে হাতে গোনা কজন নিবেদিতপ্রাণ ও সৎ ক্রিকেট সংগঠকের ভূমিকা রয়েছে- রেজা ভাই তাদের একজন।

তারাই সত্তর দশকের একদম শেষে আর আশির দশকের শুরুতে উপলব্ধি করেন, দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে হবে, ঢাকা লিগকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাও বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের ক্রিকেটারদের মান বাড়ানোর জোর তাগিদও অনুভব করেন তারা।

দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার নওশের আলম প্রিন্সের সঙ্গে করিম ই রেজার বাসায় সাজ্জাদুল আলম ববি রেজা ভাই ও রাইস ভাইরা বুঝতে পারেন, দেশের ক্রিকেটাররা যদি বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশি করে খেলার সুযোগ পায়, তা হলে শুধু ক্রিকেট লিগের আকর্ষণই বাড়বে না, প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাই বৃদ্ধি পাবে না। ক্রিকেটারদের মানেরও উন্নতি হবে। তারাও বিদেশিদের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে ভাল খেলতে থাকবে। তাতে করে দেশের ক্রিকেটেরই মঙ্গল হবে। জাতীয় দলের মান বাড়বে।

বলার অপেক্ষা রাখেনা, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রচারপ্রসার ও উন্নতির পেছনে ঢাকা লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্তি ছিল যুগান্তরী পদক্ষেপ। আমাদের ক্রিকেটাররা ওয়াসিম আকরাম, দিলীপ মেন্ডিস, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, সনাৎ জয়সুরিয়া, সামারাসেকেরা, রমন লাম্বা, অরুন লাল, অশোক মালহোত্রা, প্রণব রায়সহ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা এসে ঢাকা লিগে নিয়মিত খেলতে থাকেন।

এদের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আতহার আলী, ফারুক আহমেদ, এনামুল হক মণি, খালেদ মাহমুদ সুজন, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন শান্ত, সাইফুল ইসলাম, নাইমুর রহমান দুর্জয়রা নিজেদের ক্লাব ক্রিকেটের গন্ডি পেড়িয়ে আইসিসি ট্রফি বিজয়ী দলের সদস্য বনে যান।

বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো ছাড়াও রেজা ভাই, রাইস ভাই এবং মনি ভাইরা দেশের ক্রিকেটে আরও একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। আমরা যে মালয়েশিয়ায় ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতে প্রথম বিশ্বকাপের টিকিট কনফার্ম করি, তার পেছনেও রেজা ভাই, মনি ভাই ও রাইস ভাইয়ের দূরদর্শীতা রেখেছিল বিরাট ভূমিকা।

আগেই জানা ছিল, মালয়েশিয়ায় খেলা হবে সিনথেটিক রাবারের টার্ফে। মনি ভাই তখন বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, রাইস ভাই ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি আর রেজা ভাই কোষাধ্যক্ষ। তারা দুই বছর আগেই অনুভব করেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের যদি আগে থেকে ঐ সিনথেটিক টার্ফে খেলানো যায়, তাহলে সাফল্য অনিবার্য।

যেমন ভাবা তেমন কাজ। বিদেশ থেকে সবুজ রংয়ের ঐ সিনথেটিক রাবারের টার্ফ এনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ও ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসানো হয়। সেই সিনথেটিক টার্ফে দুই বছর খেলে আমাদের ক্রিকেটাররা মালয়েশিয়ায় গিয়ে স্বচ্ছন্দে আইসিসি ট্রফি খেলেন এবং বিজয়ী হয়ে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র অর্জন করেন।

রেজা ভাই সম্পর্কে আরও একটি কথা বলতে চাই। সেটা কাউকে বা কোন ক্লাবকে খাট করে কিংবা অসম্মান করে নয়। তা হলো, আমাদের সময় বিশেষ করে সেই সত্তরের দশকের শেষ থেকেই ক্রিকেট বোর্ড, বাফুফে আর হকিতে বড়বড় ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতা এবং ঢাকাই ক্রীড়াঙ্গনের ‘সুপার পাওয়ার’দের কর্মকর্তাদের আধিক্য থাকতো।

কিন্তু রেজা ভাই সেখানে ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি কোনো বিশেষ বা বড় ক্লাবের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নন, নিজের সততা, ক্রিকেটবোধ, বুদ্ধি, জ্ঞান আর কর্মনিষ্ঠাকে পুঁজি করেই বারবার দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থায় জায়গা করে নিয়েছেন। আমি দেশের ক্রিকেটে তার অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন